চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের কয়েকজন তরুণ আজ শুক্রবার সকালে গ্রামের একটি পুকুরে মাছ ধরতে নামেন। একপর্যায়ে তাঁরা পুকুরের কাদার মধ্যে কঙ্কালের সন্ধান পান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ওই গ্রামের বাসিন্দা কাতব আলী। তিনি পোশাক দেখে কঙ্কালটি তাঁর ছেলে আলমগীর হোসেনের (২২) বলে শনাক্ত করেন। তবে পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দা কাতব আলী জানান, আলমগীর ১০ অক্টোবর বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর তিনি আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও পুলিশ তাঁর সন্তানের সন্ধান মেলাতে পারেনি। আলমগীর পেশায় একজন কৃষিশ্রমিক ছিলেন।
এদিকে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ আজ শুক্রবার বেলা একটায় খাদিমপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাতব আলীর অভিযোগ, তাঁর ছেলের কাছে থাকা ১৫–১৬ হাজার টাকা দামের মুঠোফোন ও প্রায় ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্র জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
কাতব আলীর দাবি, বয়সে পার্থক্য থাকলেও ওই ছাত্রের সঙ্গে আলমগীরের বন্ধুত্ব ছিল। ওই ছাত্র গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছিল। তারা দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ওই ঘটনার আগের দিন থেকে আলমগীর নিখোঁজ। ওই ছাত্র পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর অনেক টাকা পাওয়া যায়।
কাতব আলী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ছেলেকে খুনের পর টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে ওই ছাত্র তার বান্ধবীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পারিবারিক উদ্যোগে যাদের ১৫ দিন আগে বিয়েও দেওয়া হয়।’
অভিযুক্ত স্কুলছাত্র তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার দাবি, গ্রামের বড় ভাই হিসেবে নিহত আলমগীরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এর বেশি কিছু নয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, খাদিমপুর গ্রামের একদল কিশোর মাছ ধরতে গিয়ে কঙ্কালের সন্ধান পান। বিষয়টি জানার পর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।